থানচি-আলীকদম সড়কে ধস, যান চলাচল বন্ধ

হাওর বার্তা নিউজঃ  বান্দরবানে পাহাড়ের ওপর দিয়ে নির্মিত থানচি-আলীকদম সড়কটি দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক। সমুদ্রসমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মিত এই সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টে ধসে পড়ায় গত বুধবার থেকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গত তিনদিনের টানা বর্ষণে সড়কের এই অবস্থা হয়েছে। থানচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মার্মা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ সড়ক থেকে পাহাড়ের নান্দনিক সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতি বছরই শত শত পর্যটক এখানে আসেন। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওই সড়কে পর্যটকের সংখ্যা তেমন দেখা যাবে না। এছাড়াও দুই উপজেলার মধ্যে পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে আলীকদম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নায়রুজ্জামান বলেন, আলীকদম-থানচি সড়কটিতে বড় ধরনের ধস হয়েছে। ধসের কারণে ছোট-বড় সব যান চলাচল বন্ধ আছে। ১২ ফুট চওড়া ও ৩৫ কিলোমিটার সড়কটি কবে নাগাদ যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা যাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না তিনি। এদিকে, সড়কটিতে মোটরসাইকেল ও পর্যটকবাহী চান্দের গাড়ি চলাচল করলেও ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক হবার কারণে বড় যান চলাচল করছে না।

স্থানীয়রা জানান, জেলার থানচি-আলীকদম সড়কের ১২ কিলোমিটার এলাকায় অনন্ত ছয়টি স্থানে সড়ক ধসে গেছে। সড়কটি নির্মাণের পর সড়ক রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে রিটার্নিং দেয়াল দেয়া হলেও দেয়াল ধসে পড়ে রাস্তা দেবে গেছে কোনো কোনো স্থানে। যার কারণে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। এছাড়াও সড়কের উপরে কোথাও কোথাও পাহাড়ের ধসে পড়া মাটি এসে পড়েছে।

২০১৫ সালের ১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সড়ক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরেই এই সড়ক সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সাঙ্গু নদ ও মাতামুহুরী নদী উপত্যকা বিভাজনকারী চিম্বুক পাহাড়শ্রেণির ডিম পাহাড় এলাকার ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করেছিল সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)। ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে পাথুরে পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা ধাপ কেটে ৩৫ কিলোমিটারের সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ১১৭ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৫ সালের এপ্রিলে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর